ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার নারী ব্যারাকে এক নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে একই থানায় কর্মরত কনস্টেবল সাফিউর রহমানের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সাফিউর প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করেন ঈদের ছুটির সময়, যখন তিনি ব্যারাকে একা ছিলেন। ওই সময় তিনি ভিডিও ধারণ করেন এবং সেটি ফাঁসের ভয় দেখিয়ে গত ৬ মাস ধরে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ওসি মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী। অভিযোগ জানিয়ে থানায় ঘুরেও বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন তিনি।
নারী পুলিশ সদস্য আরও জানান, অভিযুক্ত কনস্টেবল সাফিউরের স্ত্রীও একই ব্যারাকে থাকলেও প্রথমে বিষয়টি জানতেন না। বর্তমানে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত সাফিউর, তার স্ত্রী ও ভুক্তভোগী নারী সদস্যকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের বিশেষ টিম।
থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, "আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। বিষয়টি এসপি দেখছেন।"
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান জানান, "অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। এটি প্রেমঘটিত কি না, না কি কাউকে ফাঁসানো হচ্ছে — সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে এ ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই ভুক্তভোগী নারী সদস্যের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। অপরদিকে, কেউ কেউ ঘটনাটির ভিন্ন ব্যাখ্যা তুলে ধরছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভ্যন্তরে এ ধরনের ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার বিষয়েও। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।