ইউনূসের ম্যাজিক থামাতে না পারলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না!
দেশটা ধ্বংসের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। অর্থনীতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের সুরক্ষা ভুলে রাজনৈতিক লাঠিয়ালে রূপান্তরিত, শিক্ষাঙ্গন দখল করেছে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী, আর প্রশাসনের কলম চলে বিদেশি প্রভুদের নির্দেশে। এখন শুধু অপেক্ষা মানচিত্র পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার!
ইউনূসের কথিত “সংস্কার” উন্নয়নের মুখোশে ঢাকা এক ভয়ঙ্কর জাতি-নিধন পরিকল্পনা। এটি এমন এক নির্মম শল্যচিকিৎসা যেখানে দেশের শরীর থেকে টেনে ছিঁড়ে নেওয়া হচ্ছে প্রাণশক্তি, কেটে ফেলা হচ্ছে অর্থনৈতিক ধমনী। যে দেশ একসময় মধ্যম আয়ের স্বপ্ন দেখত, আজ তার টাকা বাজারে ছেঁড়া কাগজের চেয়েও তুচ্ছ। খাদ্য নিরাপত্তা নেই, কর্মসংস্থান নেই, ভবিষ্যতের আশা নেই আছে শুধু আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা আর নিঃশ্বাসরুদ্ধ অন্ধকার।
এটাই যদি “সংস্কার” হয় তাহলে এ সংস্কার জাতির গলায় ফাঁস!
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সত্য হলো এটা কোনো দুর্ঘটনা নয় এটি দীর্ঘদিনের আঁকা এক বিশ্বাসঘাতক নীলনকশা। বিদেশি স্বার্থ আর আঞ্চলিক প্রভুত্বের ছক অনুযায়ী বাংলাদেশের মানচিত্র ছিঁড়ে ফেলার প্রস্তুতি চলছে। প্রশাসনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদেশি এজেন্ট, মিডিয়াকে রক্তচোষা সেন্সরশিপে নীরব করা হয়েছে, জনগণকে প্রতারিত করা হয়েছে ভুয়া সংস্কারের সাজসজ্জায়।
ইতিহাস সাক্ষী যে দেশ নিজের মাটি ও মানচিত্র রক্ষায় ব্যর্থ হয়, সে দেশ স্বাধীনতার কবর খুব দ্রুত খুঁড়ে ফেলে। আজ সেই কবরখনন চলছে প্রকাশ্যে ইউনূসের ম্যাজিকের অদৃশ্য ছুরিতে।
এখন সিদ্ধান্তের সময় আমরা কি ভীরুর মতো চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখব, নাকি সেই হাতটাই গুঁড়িয়ে দেব, যে হাত আমাদের মানচিত্রে চূড়ান্ত আঘাত হানতে উদ্যত? এই নীরবতা ভাঙতে হবে, প্রতিরোধ গড়তে হবে, আর সেই বিশ্বাসঘাতকদের শেকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে যত বড় মূল্যই দিতে হোক না কেন।