বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ আজ শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগেই নয়, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের হাতেও বিপন্ন। সিলেটের ভোলাগঞ্জ—যেখানে শত শত বছর ধরে পাথর সংরক্ষিত ছিল এবং যা দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র—সে ঐতিহ্যকে মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে বিএনপি-জামাত, এনসিপি, হেফাজত ও চরমোনাই অনুসারীদের নেতৃত্বাধীন পাথর মাফিয়া চক্র। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের কয়েকজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা এই লুণ্ঠনযজ্ঞে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।
গত কয়েক মাসে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার পাথর ভোলাগঞ্জ থেকে গায়েব হয়ে গেছে। নদীর বুক, পাহাড়ের কোল—সব জায়গা খুঁড়ে তুলে নেওয়া হয়েছে এই অমূল্য সম্পদ। ট্রাকের পর ট্রাক পাথর চলে গেছে সীমান্ত ও রাজধানীমুখী রুটে, অথচ প্রশাসন ছিল পুরোপুরি নীরব। কোথাও কোনো অভিযান হয়নি, কোনো লুটেরাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, এমনকি একটি চালানও আটক হয়নি।
এত বড় মাপের সম্পদ ডাকাতি সরকারের অজান্তে কীভাবে সম্ভব? নাকি এটি প্রমাণ করে, ক্ষমতার আসনেই বসে আছে প্রকৃত লুটেরা? প্রশাসনের এই নীরবতা আসলে মদদ, যা অপরাধীদের সাহস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভোলাগঞ্জ আজ শুধু লুটেরাদের আখড়া নয়, জাতীয় সম্পদ ধ্বংসের এক ভয়াবহ প্রতীক।
এ চক্র শুধু পাথর লুট করেনি—তারা বাংলাদেশের পর্যটন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশের বিরুদ্ধে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র করেছে। ২ হাজার কোটি টাকার এই পাথর চুরি মানে রাষ্ট্রের বুক চিরে ধনরত্ন কেটে নেওয়া, আর সেই অর্থ বিদেশে পাচার হবে নাকি নির্বাচনী ফান্ডে ঢুকবে—তা নিয়েও তীব্র সন্দেহ রয়েছে।
আজ ভোলাগঞ্জের ধ্বংসস্তূপ দেখে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে—এ দেশ কি দুর্বৃত্তদের হাতে বন্ধক দেওয়া হয়েছে? যদি এখনই এই ডাকাতদের বিচারের আওতায় না আনা হয়, তবে ইতিহাস বর্তমান সরকারকে জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠনের সহকারী হিসেবেই মনে রাখবে।
জনগণের চোখের সামনে ভোলাগঞ্জ ডাকাতি—২ হাজার কোটি টাকার পাথর গিলে খেল বিএনপি-জামাত-হেফাজত চক্র, সরকারের নীরব মদদ!