সর্বশেষ

নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করে সংশোধনের আহ্বান আরএফইডির

Md Ahad পাবনা
প্রকাশিত: ৬ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৫৭
নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত ‘নীতিমালা-২০২৫’ প্রত্যাখ্যান করেছে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। সংগঠনটি বলেছে, এই নীতিমালা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করবে এবং নির্বাচনী তথ্যপ্রাপ্তিতে গুরুতর বাধা সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে যৌক্তিক ও গণমাধ্যমবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করে সংশোধনের আহ্বান আরএফইডির

নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত ‘নীতিমালা-২০২৫’ প্রত্যাখ্যান করেছে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। সংগঠনটি বলেছে, এই নীতিমালা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করবে এবং নির্বাচনী তথ্যপ্রাপ্তিতে গুরুতর বাধা সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে যৌক্তিক ও গণমাধ্যমবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

 

রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে আরএফইডির সভাপতি কাজী জেবেল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, “নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে অবাধ চলাচল, পর্যবেক্ষণ ও তথ্য পাওয়ার অধিকার সংকুচিত করার মতো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রচর্চার জন্য হুমকি।” তারা অভিযোগ করেন, নীতিমালা প্রণয়নের সময় গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী।

 

আরএফইডি জানায়, নীতিমালায় সাংবাদিকদের নিরাপদ ও বাধাহীন কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। বরং ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে ছবি তোলা ও তথ্য সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও গতি—উভয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

 

এছাড়া, একই ভোটকক্ষে একাধিক সাংবাদিকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং ১০ মিনিটের বেশি অবস্থান না করার শর্তকে ‘অযৌক্তিক সীমাবদ্ধতা’ বলে অভিহিত করেছে সংগঠনটি। তাদের মতে, এতে গণমাধ্যমের কার্যপরিধি সংকুচিত হবে এবং নির্বাচনী অনিয়মের নির্ভরযোগ্য পর্যবেক্ষণ বাধাগ্রস্ত হবে।

 

আরও বলা হয়, নীতিমালায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান থাকলেও, সাংবাদিকদের কাজে বাধাদানকারী নির্বাচন কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো উল্লেখ নেই, যা নীতিমালাকে একপেশে করেছে।

 

নীতিমালায় ভোটকক্ষে সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করাকেও তথ্যপ্রবাহ ও জবাবদিহিতার পথে বড় বাধা হিসেবে দেখছে আরএফইডি। তারা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করে যুগোপযোগী ও ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করতে।

 

ইসি গত ২৩ জুলাই ‘সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা-২০২৫’ জারি করে।

 

সব খবর