সর্বশেষ

৩১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাঃ ডিইউজের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০:২০
“সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ঢালাও ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ভয়ের সংস্কৃতিকে আরও প্রগাঢ় করবে। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হলেও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিনা তদন্তে মামলা দায়ের করা বাস্তবে সেই আশ্বাসের প্রতিফলন ঘটায় না।”
৩১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাঃ ডিইউজের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ৩১ জন বিশিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই মামলা দায়েরকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ডিইউজের সভাপতি সাজ্জাদ আলম খান তপু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিঞা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ঢালাও ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ভয়ের সংস্কৃতিকে আরও প্রগাঢ় করবে। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হলেও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিনা তদন্তে মামলা দায়ের করা বাস্তবে সেই আশ্বাসের প্রতিফলন ঘটায় না।”

 

ডিইউজে নেতারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পেশাদার সাংবাদিকতার নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।

 

উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ৩১ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যায় সহযোগিতা’র অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। আদিল নামের এক কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মামলাটি করেন তার বাবা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

 

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর প্রতিবাদে রাস্তায় নামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালায়, যার ফলে প্রাণ হারায় আদিল। অভিযোগে বলা হয়, সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রতিবেদনে সরকারকে সমর্থন ও সহায়তা করে এ ঘটনার সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন।

 

মামলায় দণ্ডবিধির ১২০(খ), ৫০৫(ক), ৫০৬ সহ ১৩টি ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমিন, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, শ্যামল দত্ত, দীপ আজাদ, নঈম নিজাম, আবুল কালাম আজাদসহ দেশের গণমাধ্যম অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

 

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একটি বৈঠকে তারা সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেন এবং ২৭ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে আন্দোলনকে ‘জঙ্গি কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যা দেন।

 

এই মামলাটি দেশের রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। এখন সবার দৃষ্টি তদন্ত প্রতিবেদন ও সরকারের অবস্থানের দিকে।

সব খবর