সর্বশেষ

এনসিপি নেতার নেতৃত্বে জনকণ্ঠ ‘দখল’, নেপথ্যে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি

Md Ahad পাবনা
প্রকাশিত: ৬ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৫৭
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা জয়নাল আবেদীন শিশিরের নেতৃত্বে একটি গোষ্ঠী দৈনিক জনকণ্ঠ কার্যালয় দখল করে, পত্রিকাটিকে “স্বৈরাচারের দোসর” আখ্যা দেয়। অভিযোগ রয়েছে, দখলের আগে তারা মালিকের কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে পত্রিকাটির ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে একটি ৬ সদস্যের নতুন সম্পাদকীয় বোর্ড গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। গণমাধ্যমে এই দখল ও চাঁদা দাবির ঘটনা সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য নজিরবিহীন হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এনসিপি নেতার নেতৃত্বে জনকণ্ঠ ‘দখল’, নেপথ্যে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  দৈনিক ‘জনকণ্ঠ’কে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে পত্রিকাটির কার্যালয় দখল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার নেতৃত্বাধীন একটি গোষ্ঠী।


শনিবার  (২ আগষ্ট ২০২৫) এই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, এই দখলের নেপথ্যে রয়েছে পত্রিকাটির মালিকের কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মতো গুরুতর অভিযোগ।

 

ঘটনার মূল অভিযুক্ত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তার নেতৃত্বে একটি দল মঙ্গলবার জনকণ্ঠ কার্যালয়ে প্রবেশ করে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। এ সংক্রান্ত একটি কলরেকর্ড বিডিভয়েসের হাতে এসেছে।

 

দখলের পর নিজেদের কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিতে গোষ্ঠীটি ‘জনকণ্ঠ’র ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেয়, যেখানে লেখা হয়, “ফ্যাসিবাদমুক্ত করা হয়েছে জনকণ্ঠ।” একই সঙ্গে তারা ৬ সদস্যের একটি নতুন সম্পাদকীয় বোর্ড গঠনের ঘোষণাও দিয়েছে, যা এখন থেকে পত্রিকাটি পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়।

 

ঘোষিত নতুন বোর্ডে রয়েছেন:

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) থেকে ১ জন

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) থেকে ১ জন

জয়নাল আবেদীন শিশির

সাবরিনা বিনতে আহমদ

ইসরাফিল ফরাজী

মীর জসিম

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জয়নাল আবেদীন শিশিরের নেতৃত্বাধীন দলটি প্রথমে পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা ‘স্বৈরাচারের দোসর’ তকমা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জোরপূর্বক দখল করে নেয়।

 

জয়নাল আবেদীন শিশিরের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি নিজেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দেন এবং অতীতে ‘দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’ পত্রিকায় প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন।

 

একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় একটি প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমকে এভাবে দখল এবং চাঁদা দাবির ঘটনায় দেশের গণমাধ্যম জগতে তীব্র আলোড়ন ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তাকে এক নজিরবিহীন হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সব খবর