গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ জানিয়েছেন, কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে এখনও পর্যন্ত কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা যতগুলো সুপারিশ দিয়েছি, তার মধ্যে যেগুলো সহজে করা সম্ভব ছিল, সেগুলোর একটি তালিকাও দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই দৃশ্যমান নয়।”
তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১২টি পদক্ষেপের কথা বলা হলেও, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন ছাড়া অন্য পদক্ষেপগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন। কামাল আহমেদ মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক সমর্থনের অভাব এবং বিরোধী দলগুলোর সহযোগিতা না পাওয়ায় সংস্কার বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাজ ছিল প্রথমবারের মতো সামগ্রিকভাবে দেশের গণমাধ্যমের চিত্র মূল্যায়ন করা। সংকট চিহ্নিত করে সমাধানের পথ বের করা হয়েছে, যা মালিক, কর্মী ও পাঠকের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি।”
কমিশনের সুপারিশে মালিকানার প্রশ্নে গণমাধ্যমকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করার প্রস্তাব রয়েছে। কামাল আহমেদ বলেন, “যদিও অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা সফল নয়, তবুও অন্তত ২০টি লাভজনক মিডিয়া রয়েছে, যারা শেয়ারবাজারে গেলে সাধারণ মানুষের সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।”
তিনি আরও জানান, কমিশনের প্রস্তাবিত স্থায়ী গণমাধ্যম কমিশন হবে প্রেস কাউন্সিল ও সম্প্রচার কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, যার অর্থায়ন হবে গণমাধ্যম শিল্প থেকেই।
‘ওয়ান হাউজ ওয়ান মিডিয়া’ নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, “সরকার চাইলে এক্সিট রুট নির্ধারণ করে মাল্টি-মিডিয়া হাউজগুলোকে একীভূত বা সীমিত করতে পারে।”
সাক্ষাৎকারের শেষে কামাল আহমেদ বলেন, “গত জুলাইয়ের পর থেকে নিউজরুমে নেতৃত্ব বদল হয়েছে, কিন্তু মালিকানা অপরিবর্তিত। এতে স্বাধীন সাংবাদিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।”
তথ্যসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন