গাজীপুরে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে, এই মোবাইল দিয়ে তিনি সন্ত্রাসীদের কোপানোর ভিডিও ধারণ করেছিলেন। মোবাইলটি উদ্ধার করা গেলে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম জানান, মোবাইলটি হত্যাকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলামত হলেও বর্তমানে এটি বন্ধ রয়েছে, এবং উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা মসজিদ মার্কেট এলাকায় তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক এক তরুণীকে মারধর করছেন। তখন কয়েকজন যুবক চাপাতি, রামদা ও ছুরি নিয়ে ওই যুবকের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। এ সময় তুহিন ঘটনাটি ভিডিও করছিলেন। পরে অস্ত্রধারীরা তাকে ধাওয়া করে ঈদগাঁ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন— কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী, স্বাধীন, আলামিন, শাহজালাল, ফয়সাল হাসান ও সুমন।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে সংবাদ সম্মেলনে জিএমপি কমিশনার ডিআইজি ড. মো. নাজমুল করিম খান সাংবাদিকের সুরক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে মামলার চার্জশিট দেয়ার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনের সময় গাজীপুরে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকারত্ব বেড়েছে, ফলে অপরাধ প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে র্যাব জানায়, সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের ছিনতাইয়ের দৃশ্য ভিডিও করায় তুহিনকে হত্যা করা হয়। গতরাতে শিববাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার স্বাধীন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।