সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। কোথাও কোমর সমান, কোথাও হাঁটুপানি জমে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে, ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে অফিসগামী, পরীক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে।
কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, পাঁচলাইশ, জিইসি, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, তিন পোলের মাথা, রিয়াজুদ্দিন বাজারসহ নানা এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। দোকানপাটেও পানি ঢুকে পড়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। আজ দিনভর মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ চলবে, আগামী দুই-তিন দিনও বৃষ্টি হতে পারে, যদিও তীব্রতা কিছুটা কমবে।
সকালেই জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি দেখতে কাপাসগোলা ও কাতালগঞ্জ ঘুরে দেখেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। তার দাবি, “জলাবদ্ধতা অর্ধেক কমেছে, বাকি সমস্যার সমাধানে ৫৭টি খালের সংস্কার চলছে। ২২টির কাজ শেষ, ১৪টির কাজ চলছে, ২০টি বাকি।” তিনি বলেন, মূল হিজড়া খালের সংস্কার ও নালা কাজ শেষ হলে কাপাসগোলা-কাতালগঞ্জের জলাবদ্ধতা ‘অনেকটাই’ কমবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের মেগা প্রকল্পের ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১৪ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুনে।
মেয়রের কথায়, “বৃষ্টি থামার দেড়-দুই ঘণ্টা পর পানি নেমে যাচ্ছে।” বর্ষা শেষে সড়ক উঁচু করার কাজও হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবু নগরের মানুষের অভিমত, প্রতি বর্ষায় একই দৃশ্য, একই প্রতিশ্রুতি; ডুবে থাকা শহর যেন দেখার কেউ নেই।