পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশে অবস্থিত শহরের প্রথম পানির ট্যাংকের চারপাশে গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ স্থাপনা। সম্প্রতি বিএনপির স্থানীয় প্রভাবশালীরা স্থায়ীভাবে দখলের উদ্দেশ্যে ইট, বালু ও সিমেন্ট দিয়ে দোকানঘর নির্মাণ শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে চারটি ইটের স্থাপনা নির্মিত হয়েছে, যার মধ্যে দুটি নির্মাণাধীন। আশপাশের দোকানদাররা জানান, এগুলো দ্রুত দোকান হিসেবে চালু হবে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতা এবং কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের এক যুগ্ম আহ্বায়ক এই দখলদারত্বে জড়িত। যদিও সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
৪২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, “চারপাশে চলছে দখলদারত্বের মহোৎসব। কেউ দোকান দখল করছে, কেউ খালি জায়গায় স্থাপনা তুলছে, আবার কেউ চাঁদাবাজি করছে।” তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগেও জায়গাটি খালি ছিল, এখন সেখানে সাটার লাগানো দোকান তৈরি হয়ে গেছে।
আরেক বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে তাদের লোকজন দখল করতো, এখন ইন্টেরিম সরকারের সময় বিএনপির লোকজন করছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।” তিনি আরও জানান, পানির ট্যাংকের পাশ ছাড়াও খান প্লাজার পাশে একটি খালি জায়গাও দখল হয়েছে, অথচ সিটি করপোরেশন নীরব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, “ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে কেউ দখল করলে সংগঠন ব্যবস্থা নেবে।” তিনি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সেন্টু ও বিএনপি নেতা হিরাকে জড়িত বলে দাবি করেন।
সেন্টু ও হিরার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন তুহিন বলেন, “দখলদারদের স্বেচ্ছাসেবক দলে ঠাঁই নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা হাসিবা খান বলেন, “বিষয়টি জানা ছিল না। ঠিকানা পেলে তদন্ত করে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।”