প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলের মূলপর্বে জায়গা করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ নারী জাতীয় দল প্রথমবার সিনিয়র এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত করে সাফল্যের নতুন অধ্যায় রচনা করেছিল। এবার সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখল বয়সভিত্তিক দলও।
রোববার লাওসের ভিয়েনতিয়েনের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘এইচ’ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলে হেরেছে লাল-সবুজের মেয়েরা। যদিও এই হার তাদের মূলপর্বের স্বপ্ন ভাঙতে পারেনি। কারণ, গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে সেরা তিন রানার্সআপের তালিকায় জায়গা পাওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য। দিনের অন্য ম্যাচে ‘ই’ গ্রুপে চীন ৮-০ গোলে লেবাননকে হারানোয় বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত হয় সেরা তিনে।
এশিয়ার ৩৩টি দল নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় গত ৬ আগস্ট। বাছাইপর্বে আটটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন সরাসরি মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাবে। এছাড়া রানার্সআপ দলগুলোর মধ্যে সেরা তিন দল মূলপর্বে অংশ নেবে। স্বাগতিক থাইল্যান্ড সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে, ফলে মোট ১২ দল নিয়ে আগামী বছরের এপ্রিল মাসে হবে মূল প্রতিযোগিতা।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচের ১৫ মিনিটে প্রথম গোল করেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা, যা তাদের এগিয়ে দেয়। প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন ছিল ১-১। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায়। ৪৭ মিনিটে লিড নেয় দক্ষিণ কোরিয়া এবং শেষ দিকে, ৮৭ থেকে ৯৪ মিনিটের মধ্যে টানা তিন গোল হজম করে বড় ব্যবধানে হেরে যায় পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
এর আগে গ্রুপপর্বে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে তিমুরকে উড়িয়ে দেয় ৮-০ ব্যবধানে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে তারা টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত ছিল, যা এই দলের আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ বহন করে।
বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-২০ দলের এই সাফল্য দেশের নারী ফুটবলে নতুন উদ্দীপনা জাগাবে বলে আশা করছেন কোচ ও ফুটবল কর্তারা। তরুণ ফুটবলারদের এই অর্জন ভবিষ্যতে সিনিয়র দলেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আগামী এপ্রিলের মূলপর্বে বাংলাদেশের মেয়েরা আরও বড় মঞ্চে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাবে।