চট্টগ্রামের পটিয়ায় চাকরিচ্যুত ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভে রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত উপজেলার সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ ছিল। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন, ফলে গ্রাহকরা ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারেননি।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আলোচিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন সময়ে নিয়োগ পাওয়া সাত হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিনা নোটিসে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ‘চট্টগ্রাম ট্যাগ’ দিয়ে এই ছাঁটাই করা হয় বলে দাবি তাদের।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মী আশরাফ আলী বলেন, “আমরা নিয়ম মেনে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর চট্টগ্রামের লোকজনকে লক্ষ্য করে দফায় দফায় ছাঁটাই করা হয়েছে।” তিনি জানান, অনেকেই চাকরির শেষ বয়সে এসে নিয়োগ পেয়েছিলেন, এখন চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
পটিয়ার ইউএনও ফারহানুর রহমান জানান, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে দুপুরের দিকে ব্যাংকগুলোর সামনে থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
অগ্রণী ব্যাংকের পটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক আবু ইব্রাহীম বলেন, “আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যাংকের ভেতরে ছিলেন, কিন্তু গ্রাহকরা প্রবেশ করতে পারেননি। যারা ঢুকতে পেরেছেন, তাদের সেবা দেওয়া হয়েছে।”
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) আরিফুল ইসলাম বলেন, “চাকরিচ্যুতরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছিলেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।”
এই ঘটনার মাধ্যমে ব্যাংক খাতে রাজনৈতিক প্রভাব ও আঞ্চলিক বৈষম্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। চাকরিচ্যুতদের দাবি, তারা ন্যায়বিচার চান এবং চাকরিতে পুনর্বহালের সুযোগ চান।