রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের অস্থায়ী কার্যালয়ে সশস্ত্র হামলায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের (এইচআর) প্রধান আমির হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের মধ্যে নিরাপত্তাকর্মী শাহিনুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং এইচআরপ্রধান আমির হোসেনকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবরুদ্ধ থাকায় পাশের সুরমা টাওয়ারে জরুরি কার্যক্রম চলছিল। বিকালে এইচআরপ্রধানসহ তিনজন ডিএমডি গাড়িতে ওঠার সময় শতাধিক আন্দোলনকারী তাদের ঘিরে ধরে লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে তারাও মারধরের শিকার হন। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন: আমির হোসেন, শাহিনুর, লিটন, ইলিয়াস, ফাহিম, রকি, তোফায়েল, নুর আলম, আরিফ, জাকির, সাগর, লুৎফর, ফারুক ও সোহেল। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ১,৪১৪ জন কর্মকর্তার মূল্যায়নের পর পরীক্ষায় অকৃতকার্য ৫৪৭ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চাকরিচ্যুতরা অভিযোগ করছেন, পূর্ব নোটিশ ছাড়াই অন্যায়ভাবে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা ২৮ জুলাই থেকে ব্যাংকের গেটে অবস্থান কর্মসূচি চালাচ্ছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবাদকারীদের মধ্যে প্রতিদিন নতুন নতুন লোক যোগ দিচ্ছে। যদিও এখনও শক্ত অভিযান হয়নি, তবে কড়া নজরদারি চলছে। ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বিক্ষোভকারীরা জোরপূর্বক কর্মীদের অফিসে ঢুকতে দিচ্ছে না, এতে ব্যাংকের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু গ্রুপ ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতিকে সহিংসতায় পরিণত করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, অতীতে কিছু ব্যাংকে যাচাই ছাড়া অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যার ফলেই আজ এ সংকট।