গাজা উপত্যকায় রবিবার দুপুরে ইজরায়েলের সবশেষ হামলায় ৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২২ জন ছিলেন খাদ্য সহায়তা প্রত্যাশী। একইসঙ্গে ছয়জন শিশু ও বৃদ্ধ মারা গেছেন অপুষ্টি ও অনাহারে, দূর্ভিক্ষের বাস্তবতাকে যা তুলেছে আরও গভীর করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর এ পর্যন্ত ৬০,৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১.৪৯ লাখের বেশি আহত হয়েছেন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৯টি মৃতদেহ এবং ৮৬৬ জন আহত হাসপাতালে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ১০ লাখ নারী ও শিশু অনাহারে ভুগছেন, এবং ৯৩ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে, যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এদিকে, ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করে ইসলামিক ধর্মীয় নিয়ম ভঙ্গ করে প্রার্থনা করেছেন, যা মুসলিম বিশ্বে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র এই ঘটনাকে “সব রেড লাইন অতিক্রম” বলে অভিহিত করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
ইজরায়েলি সেনা প্রধান জানিয়েছেন, যতক্ষণ না সব জিম্মি মুক্ত হচ্ছে, ততক্ষণ যুদ্ধ চলবে। অথচ গাজার রাস্তায় ক্ষুধার্ত শিশু, বিধ্বস্ত হাসপাতাল, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া পরিবার—এইসব দৃশ্য মানবতার কাছে এক নীরব আর্তনাদ।
বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ, নিন্দা ও মানবিক সহায়তার আহ্বান জোরালো হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়—এই মানবিক বিপর্যয় থামাতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা কি যথেষ্ট?