সর্বশেষ

সৌদিতে তিন দিনে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ

Md Ahad পাবনা
প্রকাশিত: ৬ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৫৭
সৌদিতে তিন দিনে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ

সৌদি আরবে মাত্র তিন দিনে ১৭ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

 

সোমবার ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রমে’ জড়িত থাকার অভিযোগে দুই সৌদি নাগরিককে ফাঁসি দেওয়া হয়। এর আগে শনিবার সাত এবং রোববার আরও আট জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, যাদের অধিকাংশই বিদেশি নাগরিক এবং মাদক সংক্রান্ত অপরাধে দণ্ডিত।

 

২০২২ সালের মার্চের পর এত কম সময়ে এত বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা এই প্রথম। সেবার একদিনেই ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ।

 

চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৩৮, যা ৯০-এর দশক থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রেকর্ড সংরক্ষণের পর সর্বোচ্চ। বিশ্লেষকদের মতে, এ বছর নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

মাদক সংক্রান্ত অপরাধে এ বছর ১৬১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, যার মধ্যে ১৩৬ জনই বিদেশি নাগরিক। রিপ্রাইভ রাইটস গ্রুপের কর্মকর্তা জিদ বাসিওউনি জানান,

 

“হাশিশ বা গাঁজার মতো মাদক সংক্রান্ত অপরাধে বিদেশিদের মৃত্যুদণ্ডের হার হঠাৎ বেড়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে যেখানে ব্যক্তিগত বিনোদনের জন্য হাশিশ সেবনকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উদ্বেগজনক।”

 

২০২৩ সালে সৌদি সরকার ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা করে। বিশ্লেষকদের মতে, সেই সময় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের এখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে। ২০২২ সালে তিন বছর পর আবারও মাদক সংক্রান্ত অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান চালু করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

 

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড তখনই কার্যকর করা হয় যখন অভিযুক্ত ব্যক্তি সব ধরনের আপিল প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হন। দেশকে মাদকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

 

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব তাদের সংস্কারমূলক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ এর সঙ্গে এই পদক্ষেপ সাংঘর্ষিক বলেও মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

মানবাধিকার থেকে আরও পড়ুন
সব খবর