রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের একটি হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে ফেসবুকে নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননাকর পোস্টের অভিযোগ তুলে সনাতন সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর হয়েছে। এতে অন্তত ১৫-১৬টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কিশোর স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থী। সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করে পুলিশ তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, অভিযোগ নিশ্চিত না হয়েও উত্তেজনা ছড়ানো হয়েছে। পাশের নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ এলাকা থেকে মাইকিং করে মিছিল এনে হামলার ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান খান জানান, শনিবার কিশোরকে হেফাজতে নেওয়ার পরও রাতে মিছিল হয়। রোববার দুপুরে কয়েক হাজার মানুষ আবারো আক্রমণ চালায়। পুলিশের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়লে সেনাবাহিনী ডাকা হয়। হামলাকারীরা আশেপাশের আখক্ষেতও নষ্ট করে দেয়।
স্থানীয় অধিবাসী দিলীপ রায় বলেন, “কিশোরটি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবু নিরাপত্তার জন্য তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। এরপরেও মিছিল এনে আমাদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট করা হয়েছে।”
ইউনিয়ন জামায়াতের আমির শাহ আলম বলেন, “সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করেছে, আমরা বোঝানোর চেষ্টা করেছি।” তবে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “উস্কানি দিয়ে সংগঠিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে, প্রশাসন সতর্ক থাকলেও একদল লোক সুযোগ নিয়েছে।”
পুলিশ জানায়, কিশোরের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে। তবে সেনা ও পুলিশ মোতায়েনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। স্থানীয়রা এখনও আতঙ্কে থাকলেও সোমবার বড় কোনো সংঘর্ষ হয়নি।