সর্বশেষ

স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা, অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে জনতার রায় আসবেই

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪১
স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা, অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে জনতার রায় আসবেই
বিডি ভয়েস গ্রাফিক্স

বাংলাদেশের জন্মলগ্নের অঙ্গীকার ছিল এই দেশ হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। কিন্তু আজ সেই অঙ্গীকার ভয়াবহভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। অবৈধ সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুস ক্ষমতা দখলের পর থেকে রাষ্ট্রের কাঠামোয় স্বাধীনতা–বিরোধী শক্তির দাপট চোখে পড়ার মতো।

 

সরকারি অফিস, আদালত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এমনকি সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকাণ্ডেও আজ মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের ছায়া স্পষ্ট। তাদের আশ্রয়ে ধর্মব্যবসায়ী, মৌলবাদী জঙ্গী, মব সন্ত্রাসীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। তালেবান আদলে শাসন কায়েমের চেষ্টা চলছে। যে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর কাঁধে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব, তারা আজ স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির সাথে আপোষে ব্যস্ত। এই অমানবিক আপোষ ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না।

 

মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা, শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করাও আজ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। অথচ এই বাংলাদেশে যারা সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী, বিচারক কিংবা উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা তাদের পদমর্যাদা, তাদের অস্তিত্বই সম্ভব হতো না যদি এই দেশ স্বাধীন না হতো। এ সত্য অস্বীকার করার ক্ষমতা কারো নেই।

 

২০ কোটি মানুষের দেশ, যাদের রক্তে স্বাধীনতার শপথ মিশে আছে, তারা আর ছাড় দেবে না। যারা স্বাধীনতার বিজয়কে অস্বীকার করছে, শহীদদের আত্মত্যাগকে উপহাস করছে, বিশ্বাসঘাতকতার রাজনীতি করছে তাদের বিচার এ দেশের মাটিতেই হবে। কোনো অবৈধ শাসকের নিরাপত্তা–বেষ্টনী কিংবা বিদেশি প্রভুদের প্রশ্রয় তাদের রক্ষা করতে পারবে না।

 

বাংলাদেশ বারবার প্রমাণ করেছে জনগণের শক্তির কাছে বিশ্বাসঘাতকরা পরাজিত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে। জনতার আদালতে এই জাতি বিশ্বাসঘাতকদের বিচার করবে এই হলো আগামী দিনের অনিবার্য পরিণতি।

সব খবর