আগামী ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’কে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে উত্তেজনা বাড়ছে। আওয়ামী লীগসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনে বদ্ধপরিকর। দলের নেতারা বলছেন, সম্প্রতি বিচার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘিরে এক ধরনের ‘ষড়যন্ত্র ও অস্থিতিশীলতা’ তৈরি হয়েছে, যা রোধে জনগণের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। তাদের ভাষ্য, দেশের মানুষ ভোটের অধিকার, সাংবিধানিক পথ ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অটুট রাখতেই রাস্তায় নামছেন।
তারা মনে করেন, ১৩ নভেম্বরের শান্তিপূর্ণ লকডাউন দেখিয়ে জনগণ জানিয়ে দেবে রাজনীতির ভবিষ্যৎ ‘বিচারপ্রহসন’ নয়, গণমতের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে। একইসঙ্গে তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারের সমালোচনা করে বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে অস্বীকার করে কেউ জনগণের ম্যান্ডেট দখল করতে পারবে না।
এরই মধ্যে ঢাকায় কর্মসূচি সফল করার প্রস্তুতিতে মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনগুলো। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত পাঁচটি স্থাপনার প্রধান ফটকে তালা ঝুলে থাকতে দেখা গেছে—চারুকলা অনুষদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর), পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, কার্জন হল গেট এবং বিজ্ঞান ভবন। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, অজ্ঞাত পরিচয় একদল কর্মী এসে তালা লাগিয়ে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ফেসবুকে ওই তালা লাগানোর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “১৩ তারিখ সারাদিন—লকডাউন সফল করুন।” একই ছবি শেয়ার করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পোস্ট করেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার। এখানে স্বাধীনতাবিরোধীদের আস্ফালনের সুযোগ দেওয়া হবে না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি সত্য। সকালে আমরা তালাগুলো খুলে দিয়েছি এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।” তিনি জানান, প্রক্টর অফিস ইতোমধ্যেই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তবে প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।