রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বড় এলাকা জুড়ে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ নিশ্চিত করেছে যে আগুন নেভাতে প্রথমে ১১টি ইউনিট পাঠানো হয়, পরে আরও পাঁচটি ইউনিট যুক্ত হয়। সন্ধ্যার মধ্যে মোট ১৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, আগুন লাগার কারণ এখনো স্পষ্ট নয় এবং হতাহতের তথ্যও পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলে ধাপে ধাপে ইউনিট বাড়ানো হয়েছে, তবে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।”
ঘটনাস্থলে থাকা বিডি ভয়েসের প্রতিবেদকের তথ্যে জানা যায়, বস্তির ঘরগুলো প্রধানত টিন, বাঁশ, কাঠ ও লোহার তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পরপরই বস্তির বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
কড়াইল বস্তির বেশিরভাগ বাসিন্দাই পোশাকশ্রমিক, রিকশাচালক, হকার ও দিনমজুর। আগুন বিকেলে লাগায় সেই সময়ে অনেকেই কর্মস্থলে ছিলেন। ফলে বহু পরিবার ঘরে না থাকায় নিজেদের সম্পদ রক্ষার সুযোগ পাননি।
এই প্রতিবেদন তৈরীর সময় রাত ৮টা পর্যন্ত আগুন জ্বলতে থাকে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা চাপকল ও খাল থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বস্তির বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আগুন, এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলি দূর থেকে আকাশে উঠে যাচ্ছে।
বাসিন্দাদের দাবি, ইতোমধ্যে শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। অনেক মানুষ শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে ঘর থেকে যা পারছেন বের করে আনছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন একদিকে নেভানোর চেষ্টা চললেও অন্যদিকে তা আরও ছড়িয়ে পড়ছে।
আগুনের উৎস ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।