খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতার পর এবার তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এই ঘোষণা দেয়। অবরোধ চলাকালে সব পর্যটন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার, নিরপেক্ষ তদন্ত, ক্ষতিপূরণ, নিরাপত্তা এবং ১৪৪ ধারা বাতিলের দাবি।
প্রথম দাবিতে বলা হয়েছে, আলোচনা শুরুর পর থেকে যেকোনো ধরনের হামলা, সহিংসতা বা ভীতি প্রদর্শন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনগতভাবে বাধ্য থাকতে হবে এবং তা নিশ্চিত করতে হবে।
দ্বিতীয় দাবিতে ধর্ষণ মামলার অবশিষ্ট দুই আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া চয়ন শীলের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে দণ্ড কার্যকর করতে হবে এবং তা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করতে হবে। ভুক্তভোগীকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
তৃতীয় দাবিতে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘটিত লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে একটি অফিসিয়াল তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে।
চতুর্থ দাবিতে নিরীহ জুম্ম ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি করা হয়েছে।
পঞ্চম দাবিতে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ অবরোধে বাধা দেওয়া বা আদিবাসীদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার পূর্ণ ক্ষতিপূরণ ও ন্যায্য প্রতিকার দিতে হবে।
ষষ্ঠ দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আটককৃত সকল জুম্ম ছাত্র-জনতাকে নিঃশর্ত মুক্তি এবং হামলার ঘটনায় স্বতন্ত্র, স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
সপ্তম দাবিতে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা প্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
অষ্টম ও শেষ দাবিতে ১৪৪ ধারা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে।