সর্বশেষ

গোয়ালন্দে মাজার ভাঙচুর

দাবি মেনে কবর নিচু করা হয়, তবু হামলা

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৩৫
দাবি মেনে কবর নিচু করা হয়, তবু হামলা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ‘নুরাল পাগলার’ দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দাবি মেনে কবর নিচু করা হলেও শুক্রবার জুমার পর ‘তৌহিদী জনতা’ নামে একদল লোক দরবারে হামলা চালায়, লাশ তুলে পুড়িয়ে দেয় এবং অন্তত একজন নিহত হন।

 

নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’র মৃত্যুর পর তার ইচ্ছানুযায়ী কবরটি কাবা শরিফের আদলে কিছুটা উঁচু করে নির্মাণ করা হয়। এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে স্থানীয় কয়েকটি সংগঠন বিক্ষোভ শুরু করে। প্রশাসনের মধ্যস্থতায় কবর নিচু করা হয়, সাইনবোর্ড ও দেয়ালের রঙ পরিবর্তন করা হয়। পুলিশ ও অভিযোগকারীরা পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশও করেন।

 

তবু শুক্রবার হাজারো মানুষ দেশি অস্ত্র নিয়ে দরবারে হামলা চালায়। পুলিশ প্রথমে প্রতিরোধ করলেও পরে পিছু হটে। হামলায় অর্ধশতাধিক ভক্ত আহত হন, একজন নিহত হন। রাতেই পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়।

 

দরবারের ভক্ত গোলাম আলী বলেন, “হামলার সময় একজন নারী আমাকে রক্ষা করেন, রিকশায় হাসপাতালে নিয়ে যান। এটা আমি ভুলব না।” তিনি জানান, নবীজির জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল শেষে হামলা হয়।

 

এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে, দরবারে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, তবে এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

 

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিটি ঘটনায় মামলা হবে, ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করা হবে।

 

দরবার শরিফে মুসলিম, হিন্দু—সব ধর্মের মানুষ যাতায়াত করতেন। নুরুল হকের অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। তার মৃত্যুর পর কবরের উচ্চতা ও ধর্মীয় দাবিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়ে।

সব খবর