আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা এলাকায় এসব বিস্ফোরণ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এসব ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে।
রাজধানীর দুদক কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে। হঠাৎ বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিস্ফোরণের পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে এবং তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমকে লক্ষ্য করে এ ধরনের হামলা চালানো হতে পারে।
যশোরে জনবহুল এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শহরের ড্রেনের পাশে ফেলে রাখা ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানো হতে পারে।
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায়। বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
এসব ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে টহল জোরদার করেছে। পুলিশ বলছে, যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। একই সঙ্গে জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং সন্দেহজনক কোনো বস্তু দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
সব মিলিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
