সর্বশেষ

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান ডিএনসিসির

প্রকাশিত: ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১৪:৪৭
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান ডিএনসিসির

বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ এবং বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুহার এখন বাংলাদেশের। এ প্রেক্ষাপটে গতকাল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয় ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সংলাপ আগস্ট ২০২৫: প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও নিরসন’ শীর্ষক সমন্বয় সভা।

 

সভায় বক্তারা বলেন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ মাস। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়বে এবং হাসপাতালগুলোয় চাপ বৃদ্ধি পাবে। পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়, তবে অক্টোবরে বর্ষা শেষ হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

 

সভায় মশা নিয়ন্ত্রণে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরা হয়—জনগণের সচেতনতার অভাব, কীটনাশক প্রয়োগে ভুল, অপর্যাপ্ত সরকারি উদ্যোগ, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পানি নিষ্কাশনের সমস্যা এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন। বাসাবাড়িতে প্রবেশে বাধা ও কীটনাশকের প্রতি মশার প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। এছাড়া সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা ও ফগিংনির্ভরতা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।

 

ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, লার্ভিসাইডের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য একাধিক স্বীকৃত ল্যাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মশক কর্মীদের কাজ নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে এবং তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মনিটরিংয়ের ফলে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় কিট ও সরঞ্জাম সরবরাহের প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।

 

বিশেষজ্ঞরা শুধু ডেঙ্গু নয়, বরং জিকা ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধেও আগাম প্রস্তুতির ওপর গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ে সময়মতো সার্ভে চালিয়ে মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত ও ধ্বংস করতে হবে। নাগরিক সচেতনতা ছাড়া এসব রোগ মোকাবেলা সম্ভব নয়।

 

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ফুটপাত দখল করে বসা বাজারগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে কঠিন করে তোলে, যা মশার প্রজননে সহায়ক। আমরা রাতভর শহর পরিষ্কার করি, কিন্তু দুপুরের মধ্যেই শহর আবার নোংরা হয়ে যায়। ডেঙ্গু মোকাবেলা শুধু সিটি করপোরেশন বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একক দায়িত্ব নয়, বরং সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’

সব খবর