ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় ‘ফ্যাসিবাদের’ উপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের সময় দুইটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর থেকে ককটেল দুটি নিক্ষেপ করা হয়। এতে একজন সামান্য আহত হয়েছেন এবং ঘটনাস্থলেই স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা লাইভ সম্প্রচার করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় শিক্ষার্থী ও পথচারীরা সেদিকেই ছুটে যান, কিন্তু দুষ্কৃতকারীকে ধরতে পারেননি। পুলিশ ও ঢাবির প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

একইদিন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অফিসের সামনে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাত দুজন মোটরসাইকেল আরোহী অটোরিকশায় আগুন দেয়ার পর দ্রুত পালিয়ে যান। পুলিশ জানায়, অভিযোগ অনুসারে তারা সম্ভবত কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক হতে পারে।
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান’ বিষয়ক একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর সময় বিকট শব্দ শোনা যায়, যা প্রথমে ককটেল বিস্ফোরণ মনে করা হয়েছিল। পরে পুলিশ নিশ্চিত করেছে, এটি পটকা ফোটানোর শব্দ ছিল এবং কোনো ক্ষতি হয়নি।

এছাড়া, তেজগাঁও রেলস্টেশনের ডাম্পিংয়ের জন্য রাখা দুটি বগির মধ্যে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এ ধরনের ঘটনা নিরাপত্তা ও নাগরিক জীবনের জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসাধারণের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষার পাশাপাশি এসব ঘটনায় মানুষের মৌলিক অধিকার ও গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। টিএসসি বা পল্লবীর মতো শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক স্থানে এই ধরনের হামলা শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করছে।
নিরাপত্তা বাহিনী এসব ঘটনার তদন্ত করছে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে সতর্ক থাকার ঘোষণা দিয়েছে। তবে নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের উদ্বেগ এখনো বেড়ে গেছে।