ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোড পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিন ধরেই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এতে এক বছরের বেশি সময় ধরে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ মহাসড়ক ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকরা।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে হঠাৎ করেই সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড গোলচত্বরে অস্থায়ী সংস্কার কাজ শুরু করে। ইট ও বালু বিছিয়ে সড়কের ওই অংশ ৬ ইঞ্চি উঁচু করা হয়েছে। ফলে চলাচলের জন্য মূল সড়ক অনেকটাই সংকুচিত হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে সংস্কার সামগ্রী রাখার কারণে ঢাকা থেকে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ামুখী ইউটার্ন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বিশ্বরোড এলাকায় সকাল থেকেই ভয়াবহ যানজট তৈরি হয়।
এদিকে সওজ ও চার লেন প্রকল্পের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ পরিদর্শনে আসবেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করেই তড়িঘড়ি করে অস্থায়ী মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। তবে স্থায়ী সংস্কার শিগগিরই শুরু করা হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন। ব্যয় ও সংস্কারের সুনির্দিষ্ট পরিমাণ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
অস্থায়ী ভোগান্তিমূলক কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। স্থানীয় বাসিন্দা রুকন উদ্দিন লস্কর বলেন, “কেবলমাত্র একজন রাষ্ট্রীয় অতিথির আগমন উপলক্ষে অস্থায়ী সংস্কার দুঃখজনক। এতে রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় হচ্ছে।”
বাসচালক আলী আকবর জানান, “ইউটার্ন বন্ধ থাকায় যানজট আরও বেড়েছে। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে কাজ করা মোটেও ঠিক নয়।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খন্দকার বলেন, “অস্থায়ী কাজের দৈর্ঘ্য ও ব্যয় এখনো নির্ধারণ হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে।”
অন্যদিকে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে। তবে সংস্কারের কারণে ভোগান্তি বেড়েছে। স্থায়ী কাজ ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।