রাজধানীতে চার স্থানে ধারাবাহিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ধর্মীয় সহাবস্থান ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিঘ্ন ঘটানোর যেকোনো চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সরকারের প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে এবং রাজধানীর সব গির্জা ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, ককটেল হামলার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সরকারের পক্ষ থেকে তাকে ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দাবি করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ প্রকাশ করা হয়নি। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল ও সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে বিস্ফোরণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
সরকারের বিবৃতিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ডিএমপির যৌথ অভিযানের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, রাজধানীতে সংঘটিত এই ‘জঘন্য ও কাপুরুষোচিত সহিংসতা’র সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে, সোমবার সকালে রাজধানীর চার স্থানে পরপর বিস্ফোরণ ঘটে। মোহাম্মদপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং লেখক ফরহাদ মজহার পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সীমানার ভেতরে ও বাইরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একইভাবে মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের অংশে আরেকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের প্রধান সড়কে মাইডাস সেন্টারের সামনে এবং ধানমণ্ডি ৯ নম্বরের ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনেও বিস্ফোরণের ঘটনা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে এবং রাজধানীতে নজরদারি আরো বাড়ানো হয়েছে। জনগণকে শান্ত ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।