সর্বশেষ

ক্যাম্পের বাইরে রোহিঙ্গাদের বসবাসে নিরাপত্তা হুমকি, উখিয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ

জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৫৪
ক্যাম্পের বাইরে রোহিঙ্গাদের বসবাসে নিরাপত্তা হুমকি, উখিয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ
২৭ সেপ্টেম্বর উখিয়ার পালংখালী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়শিবিরের বাইরে শত শত রোহিঙ্গা পরিবার ভাড়া বাসায় বসবাস করছে, যা স্থানীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ও জমির মালিকরা অর্থ লাভের আশায় ঘর নির্মাণ করে এসব রোহিঙ্গাকে ভাড়া দিচ্ছেন। ফলে মাদক, অস্ত্র ও অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে অনেকে।

 

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছাড়া অন্য কোথাও থাকার অনুমতি পায়নি। কেউ অবৈধভাবে ভাড়া থাকলে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে—এ নির্দেশ আগে থেকেই দেওয়া আছে।”

 

তথ্য অনুযায়ী, উখিয়ার বালুখালী মরাগাছতলা এলাকায় অর্ধশতাধিক বাড়িতে রোহিঙ্গারা ভাড়া থাকে। মনিয়ার বাড়িতে ১৪টি, আনোয়ারের বসতভিটায় ২২টি, ছগির আহমদের বাড়িতে ১২টি, আবদুর রহমান ও লুৎফুর নাহারের বাড়িতে যথাক্রমে ২০ ও ৪৫টি পরিবার বসবাস করছে। প্রতিটি পরিবার মাসে গড়ে ৩ হাজার টাকা ভাড়া দেয়, সঙ্গে জামানত বাবদ ৪৫-৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।

 

এছাড়া ফরিদ আলম, আবদুল করিম, জুনি, ছৈয়দ আলম, সামশুল আলম, নুরুল আমিন, রেহেনা আক্তার ও বেলালসহ আরও কয়েকজনের বাড়িতে রোহিঙ্গা বসতি গড়ে উঠেছে। পাহাড়ি এলাকায় যেমন মোছারখোলা, তেলখোলা, প্রেমবাজার, গর্জনখোলা ও বাইলাখালীতে স্থানীয় ও চাকমা পরিবার রোহিঙ্গাদের জায়গা বিক্রি বা ভাড়া দিয়েছে। তেলখোলা বাজারের পশ্চিমে বাইলাখালীতে অন্তত ১৫টি পরিবার নিজস্ব ঘরও নির্মাণ করেছে।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, পশ্চিম বালুখালীর ‘আর্মি ফারুকের’ বাড়িতে থাকা অন্তত ১০ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা ও আল ইয়াকিনের সক্রিয় সদস্য। পালংখালী এবি মডেল একাডেমির পশ্চিমে এক রোহিঙ্গা জমি কিনে ঘর নির্মাণ করেছে, যেখানে নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে।

 

রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, “রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে বসবাস করলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে।” পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, “আমরা কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি, প্রশাসনকে জানিয়েছি। তবে শক্ত পদক্ষেপ ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়।”

 

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ তদন্তাধীন। প্রমাণ মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সচেতন মহল মনে করছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

সব খবর

আরও পড়ুন

কারাবন্দী অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ হোসেনের মৃত্যু

কাশিমপুর কারাগার নিয়ে ফের বিতর্ক কারাবন্দী অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ হোসেনের মৃত্যু

রাজধানীসহ দুই জেলায় নাশকতার ঘটনা, দেশব্যাপী বাড়ছে জনআতঙ্ক

আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ রাজধানীসহ দুই জেলায় নাশকতার ঘটনা, দেশব্যাপী বাড়ছে জনআতঙ্ক

ময়মনসিংহে গানপাউডার দিয়ে ট্রেনের বগিতে আগুন

নাশকতার চেষ্টা ব্যর্থ ময়মনসিংহে গানপাউডার দিয়ে ট্রেনের বগিতে আগুন

ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু মোল্লাহর বাসায় শিবিরের মব আক্রমণ ও গ্রেপ্তার

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে পোস্ট ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু মোল্লাহর বাসায় শিবিরের মব আক্রমণ ও গ্রেপ্তার

প্রতিদিন ১৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্যে চট্টগ্রামের ৫৭ খালের সর্বনাশ

পরিবেশ সংকট প্রতিদিন ১৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্যে চট্টগ্রামের ৫৭ খালের সর্বনাশ

আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপাতে দেশজুড়ে অগ্নিসংযোগ, নাশকতা দুর্বৃত্তদের

সর্বাত্মক শাটডাউন কর্মসূচি আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপাতে দেশজুড়ে অগ্নিসংযোগ, নাশকতা দুর্বৃত্তদের

রাজধানী ঢাকায় একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ

শহরজুড়ে আতঙ্ক-স্থবিরতা রাজধানী ঢাকায় একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ

যৌতুকের জন্য বউ পিটিয়ে জেল খাটা কর্মকর্তা এখন বরিশালের ডিসি

যৌতুকের জন্য বউ পিটিয়ে জেল খাটা কর্মকর্তা এখন বরিশালের ডিসি