শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৭–৩৮ মিনিটের দিকে ঢাকাসহ সারাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.২ থেকে ৫.৫-এর মধ্যে। ইউএসজিসের তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল নরসিংদী, আর অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম বলছে উপকেন্দ্র ছিল ঢাকার আশপাশে।
হঠাৎ এই কম্পনে রাজধানীর বহু এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাসা-বাড়ি, অফিস ও শপিং মল থেকে মানুষ দৌড়ে রাস্তায় নেমে আসে। রাজধানীর এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান, কাঁপুনির তীব্রতায় দোকানের সেলফ থেকে পোশাক নিচে পড়ে যায়। মিরপুর ২-এর এক গৃহিণী বলেন, ড্রেসিং টেবিল নড়ে ওঠে এবং ওপরের কসমেটিকসগুলো পড়ে যেতে থাকে, মনে হচ্ছিল যেন কেউ ধাক্কা দিচ্ছে।
ঢাকা ছাড়াও চাঁদপুর, নীলফামারী, সীতাকুণ্ড, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, বগুড়া, বরিশাল, রাজশাহী, নাটোর ও মৌলভীবাজারসহ বহু জেলা থেকে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নাটোরের লাভলী বেগম জানান, প্রথমে তিনি বিষয়টিকে ভুল ভেবেছিলেন; পরে খাটে বসে থাকা স্বজনদের দৌড়ে নামতে দেখে কাঁপুনি টের পান। তার ভাষায়, “এত তীব্র ভূমিকম্প এর আগে কখনো অনুভব করিনি।”

এদিকে ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পরই ঢাকার আরমানীটোলায় একটি ভবন ধসে পড়ার খবর জানা যায়। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, ভূমিকম্পের পর একাধিক কল আসে এবং আরমানীটোলার ঘটনার বিষয়ে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে।
হঠাৎ আসা এই কম্পন আবারও নগরীর দুর্বল ভবন কাঠামো ও দুর্যোগ প্রস্তুতি নিয়ে জনগণের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ভবন ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও দুর্যোগ সচেতনতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করছেন।