রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় চাঁদাবাজি ও ককটেল হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে আধাবেলা গাড়ির শো-রুম বন্ধ রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন পুরনো গাড়ির আমদানিকারক ও বিক্রেতারা। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না হলে ব্যবসা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শো-রুম বন্ধ রেখে রাজধানীর প্রগতি সরণির কোকাকোলা মোড়ে মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আবদুল হক বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে নিয়মিত চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। চাঁদা না দিলে শো-রুমে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। গত চার-পাঁচ মাসে অন্তত ১২টি শো-রুমে হামলার ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। তদন্ত শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। যদি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে আমরা বন্দর কাস্টমসের মাধ্যমে গাড়ি খালাস, রাজস্ব প্রদান ও বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম বন্ধ করে দেব।”
বারভিডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংগঠনটি দেশের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির মূলধারার প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা হয়। বর্তমানে কয়েক লাখ মানুষ এই খাতের সঙ্গে যুক্ত।
সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের সদস্য জাকারিয়া রহমান জানান, বিদেশি ও অনলাইন নম্বর থেকে কল করে ৫০ হাজার থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “না দিলে সন্ত্রাসীরা ককটেল হামলা চালায়। এতে আমরা ব্যবসায়িক ও মানসিকভাবে চরম আতঙ্কে আছি।”
বারভিডার নেতারা জানান, সম্প্রতি তারা ডিএমপি কমিশনার ও র্যাব মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি অবহিত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাস সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছেন।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, “আমরা সরকারের সঙ্গে আছি, কোনো অপরাধীর কাছে নই। কেউ চাঁদা আদায় করতে এলে প্রতিহত করা হবে।”