বাংলাদেশ কখনোই মৌলবাদ বা চরমপন্থার অভয়ারণ্য হয়ে উঠুক—এমনটি কেউ চায় না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কবিতা পরিষদের কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে বিএনপি মিডিয়া সেলের আয়োজনে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কবি-সাহিত্যিকদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, “স্বৈরাচারকে বাংলাদেশের মানুষ কিছুদিন আগে বিতাড়িত করেছে। সেই স্বৈরাচারের পুনর্জাগরণ প্রতিহত করতে আমরাও আপনাদের মতো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রাজনৈতিক দর্শনে পার্থক্য থাকলেও সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা সবাই এক।”
তিনি আরও বলেন, “কবি-সাহিত্যিকরা মানব সভ্যতার কাছে এক বিরাট ঋণ। সাধারণ মানুষের অব্যক্ত অনুভূতিকে প্রকাশ করেন তারা। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে কবি-সাহিত্যিকরা মুক্তির কথা বলেছেন, জনগণকে সচেতন করেছেন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা দেশাত্মবোধক কবিতা ও সংগীত থেকে প্রেরণা পেয়েছিলেন।”
তারেক রহমান বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা হলো—এই দেশ কখনো মৌলবাদী বা চরমপন্থার আস্তানায় পরিণত না হয়। বাংলাদেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র।”
তিনি নির্বাচনের অপরিহার্যতার কথা তুলে ধরে বলেন, “জবাবদিহি নিশ্চিত করতে নির্বাচন একান্ত প্রয়োজন। এ দেশের মালিক কেবল জনগণ। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই বাকস্বাধীনতা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
অনুষ্ঠানে কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান কবি নুরুল ইসলাম মনি, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, উপদেষ্টা মাহদী আমীন, কবি মতিন বৈরাগী, কবি রেজাউল উদ্দিন স্ট্যালিন, অনামিকা হক লিলি, এবিএম সোহেল রশীদ, শ্যামল জাকারিয়া, নুরুন্নবী সোহেল, শাহিন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।