সর্বশেষ

গণমাধ্যম ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করলেন হাসনাত, শোকজের সমালোচনা

প্রকাশিত: ৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৫:৩৮
“গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার সম্মিলিত ‘ডিমোনাইজেশন’ টেকনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অগ্রহণযোগ্য। এটি অতীতে হাসিনার আমলেও বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে, এখনো চলছে।”
গণমাধ্যম ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করলেন হাসনাত, শোকজের সমালোচনা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, দলের পাঁচ শীর্ষ নেতার কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও কিছু গণমাধ্যম মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি, তাই নীরব প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তারা কক্সবাজারে গিয়েছিলেন।

দলীয় শোকজের জবাবে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) তিনি লিখিতভাবে এসব মন্তব্য করেন। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ উদ্দিন সিফাত গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

হাসনাত অভিযোগ করেন, বিমানবন্দর থেকে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের ছবি ও ভিডিও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মিডিয়ার কাছে সরবরাহ করেছে। কিছু মিডিয়া তা ক্রাইম মুভির মিউজিক দিয়ে সাজিয়ে বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করেছে। এমনকি গুজব ছড়ানো হয়েছে যে তারা পিটার হাসের সঙ্গে গোপন বৈঠকে যাচ্ছেন, অথচ তিনি তখন বাংলাদেশেই ছিলেন না।

তিনি বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার সম্মিলিত ‘ডিমোনাইজেশন’ টেকনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অগ্রহণযোগ্য। এটি অতীতে হাসিনার আমলেও বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে, এখনো চলছে।”

 

নারী নেতৃত্বের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাসনিম জারার বিরুদ্ধে পরিচালিত নগ্ন স্লাটশেইমিং ছিল অত্যন্ত নিন্দনীয়। শুধুমাত্র নারী হওয়ার কারণে তাকে ঘিরে অশালীন প্রচার চালানো হয়েছে। এটি ভবিষ্যতের নারী রাজনীতিকদের নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা।”

 

দলীয় শোকজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। অথচ দল আমাদের বিরুদ্ধে এমন ভাষায় শোকজ দিয়েছে, যা মিথ্যা অভিযোগকে উসকে দিয়েছে।”

 

তিনি দাবি করেন, “আমি কোনও দলীয় আইন লঙ্ঘন করিনি। শোকজের ভাষা ও তা মিডিয়ায় প্রকাশ করা রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাবের পরিচায়ক।”

সব খবর