বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গত দেড় দশকে দেশের ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়া প্রায় ৪ কোটি নতুন তরুণ ভোটারের অধিকার ‘ফ্যাসিবাদী চক্র’ ছিনিয়ে নিয়েছে। সেই হারানো ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ সামনে এসেছে উল্লেখ করে তিনি তরুণদের ধানের শীষে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে ছাত্রদল আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া এক বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, “তরুণদের প্রথম ভোট হোক ধানের শীষে। শহীদদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়তে ছাত্রদলের কর্মীদের নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে দেশে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও গণতন্ত্র ধ্বংসের পাশাপাশি উগ্রবাদ-চরমপন্থা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন চলছে। এই প্রবণতা রোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান জানান, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নে ছাত্রদলকে ভূমিকা রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশও তিনি দিয়েছেন। একইসঙ্গে স্কুল পর্যায় থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা চালুর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “নতুন একটি সূর্য উঠেছে, যা আমাদের সামনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা হারিয়েছি অনেক ছাত্র, যারা গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার।”
তিনি অভিযোগ করেন, “আমাদের পাশের দেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা আশ্রয় নিয়ে দেশের ভেতরে ষড়যন্ত্র করছেন। দেশের মানুষ এখন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।”
ছাত্রদলের সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি সাবেক ছাত্রনেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ডাক দেন।
বক্তব্যে বারবারই উঠে আসে ‘ফ্যাসিবাদ’, ‘ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা’, ‘উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা’, ‘তরুণদের অংশগ্রহণ’ ও ‘স্বাধীনতা-সুশাসনের’ প্রত্যাশা।
নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ছাত্র আন্দোলনই হবে আগামী গণ-আন্দোলনের প্রধান চালিকাশক্তি।