সর্বশেষ

সম্পর্কিত

উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাবিতে সভা বয়কট ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট ও বিসিএলের

প্রকাশিত: ১১ অগাস্ট ২০২৫, ১৩:৪৯
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান দুর্গ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহনকারী প্রতিষ্ঠান। যুদ্ধাপরাধী ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে কোনো ধরনের রাজনৈতিক আপস বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধ ও ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে।”
উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাবিতে সভা বয়কট ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট ও বিসিএলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজিত সভা বয়কট করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল। এই তিনটি সংগঠন অভিযোগ করেছে, উপাচার্য যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যাকারী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছেন।

 

রবিবার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সভায় অংশ নিতে গিয়ে সভার শুরুতেই ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট ও বিসিএলের নেতারা ছাত্র শিবিরের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানান এবং প্রশাসনের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চান। জবাবে উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান সকলের উপস্থিতিতে “পরিবর্তিত পরিস্থিতির” কথা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর বৈধতা প্রদান করেন এবং তাদের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেন।

 

এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা ও সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ, ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হানউদ্দিন এবং বিসিএলের সভাপতি গৌতম শীল ও কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

 

পরে এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান দুর্গ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহনকারী প্রতিষ্ঠান। যুদ্ধাপরাধী ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে কোনো ধরনের রাজনৈতিক আপস বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধ ও ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে। তারা উপাচার্যের বক্তব্যকে “ধৃষ্টতাপূর্ণ” আখ্যা দিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদন না দেওয়ার দাবি জানান।

 

ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে তারা আপসহীন থাকবে এবং যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের পুনর্বাসনের যে কোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করবে।

সব খবর