দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহান্তে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ও সূচক সাড়ে চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত এবং অস্বচ্ছ নীতির কারণে বাজারে এ সংকট তৈরি হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৯.১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৮৬০.৭৫ পয়েন্টে, যা গত ২ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন। অন্যদিকে ডিএসইএস সূচক ১১.৮৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১,১১০.৭০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৮.৪৯ পয়েন্ট কমে ১,৯১০.৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে এদিন মোট ৩৮৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৭০টির দর বেড়েছে, ২৭৫টির দর কমেছে এবং ৪১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোট লেনদেন হয়েছে ৩৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার, যা গত সাড়ে চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২৪ জুন লেনদেন হয়েছিল ৩৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গতকাল লেনদেন হয়েছিল ৪০২ কোটি ২০ লাখ টাকার, অর্থাৎ একদিনে লেনদেন কমেছে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার, যা আগের দিনের ২২ কোটি টাকার তুলনায় অনেক কম। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭টির দর বেড়েছে, ১২৭টির কমেছে এবং ৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪০.১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩,৭৪৩.৩৭ পয়েন্টে। আগের দিন সূচক কমেছিল ৮৬.০৬ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অদক্ষতা ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা বলছেন, বাজার স্থিতিশীলতার পরিবর্তে একটি বিশেষ শ্রেণীকে সুবিধা দিতে গিয়ে শেয়ারবাজারে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।
তাদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে পুনর্গঠন করা এবং দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা।