সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আবারও টানা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তিন দফা দাবির পক্ষে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৫ নভেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এর ফলে দেশের সাড়ে ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে, যা শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন করে সংকট তৈরি করেছে।
এর আগে ৯ নভেম্বর একই দাবিতে সহকারী শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন। পরে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি বিবেচনার আশ্বাস এলে তারা কর্মস্থলে ফিরে যান। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষার পরও দৃশ্যমান অগ্রগতি না পাওয়ায়, আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ পুনরায় কর্মবিরতির ডাক দেয়।
এবারের কর্মসূচি অনুযায়ী, ২৩ ও ২৪ নভেম্বর সারা দেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। এরপর ২৫–২৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। দাবি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হলে, শিক্ষক সংগঠনটি বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন ও ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচির ঘোষণাও দিয়েছে—যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে।
সহকারী শিক্ষকরা যে তিনটি মূল দাবি তুলেছেন—
শিক্ষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক আন্দোলনের পরও তাদের যৌক্তিক দাবি কার্যকর হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার আশ্বাস থাকলেও বাস্তবে কোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতিগত সিদ্ধান্ত না আসায় তারা আবারও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
শিক্ষাবিদেরা মনে করছেন, চলমান কর্মবিরতি দীর্ঘায়িত হলে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি আরও বাড়তে পারে। সেজন্য দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।