সর্বশেষ

কক্সবাজার সৈকতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের নির্দেশ

জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:১১
কক্সবাজার সৈকতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের নির্দেশ
কক্সবাজার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ দোকান ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত জানান, যেখানে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পরিবেশ সংরক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

সৈকতের বালিয়াড়িতে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকান, খাবার স্টল, ভাড়ার সামগ্রী ও অন্যান্য বাণিজ্যিক স্থাপনা দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন অভিজ্ঞতা ব্যাহত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব স্থাপনা পরিবেশ দূষণ, জনদুর্ভোগ এবং সৌন্দর্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এসব অবৈধ স্থাপনা দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে।

 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও ইকোনমিক কনসালটিং অ্যাসোসিয়েশন (ECA) যৌথভাবে সৈকতের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে। ২০১৭ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের আওতায় সৈকতের বিভিন্ন অংশে পর্যটকবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ, পরিচ্ছন্নতা রক্ষা এবং পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

জানা গেছে, সৈকতের বালিয়াড়িতে যেসব দোকান ও স্টল রয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই অনুমোদনহীন। এসব স্থাপনা অপসারণে ইতোমধ্যে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পর্যটন এলাকা হিসেবে সৈকতের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ জরুরি।

 

স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের পর্যটকরা অভিযোগ করেছেন, সৈকতের মূল অংশে দোকানপাটের ভিড়, শব্দদূষণ ও আবর্জনার কারণে প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব হয় না। অনেক দোকানদার পর্যটকদের হয়রানি করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে কক্সবাজারের পর্যটন সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

 

জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা চাই সৈকত হোক পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও পর্যটকবান্ধব। এজন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ছাড়া বিকল্প নেই।”

 

উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পৌর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে কাজ করবে। পর্যটন এলাকা হিসেবে কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে পরিবেশ রক্ষা ও অবকাঠামোগত শৃঙ্খলা জরুরি।

 

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিকল্পিত উন্নয়ন ও নিয়মিত তদারকি ছাড়া কক্সবাজারের পর্যটন খাত টেকসই হবে না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উচ্ছেদ কার্যক্রমের পর সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

সব খবর