ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিয়া এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার সকালে মারা গেছেন। সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৮ জনে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, “২১ জুলাই দুর্ঘটনার পর তাসনিয়াকে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।” তাসনিয়ার বাবা নাজমুল ইসলাম বলেন, “তাসনিয়া সকালে মারা গেছে। আমরা এখন বার্ন ইনস্টিটিউটেই আছি।”
গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই শিশু। পরদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়।
দুর্ঘটনায় আহত ৫৬ জনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, ১৪ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং ২২ জন এখনও চিকিৎসাধীন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আরও কয়েকজন, যেখানে ১৪ জনের মৃত্যু হয় এবং একজন এখনও চিকিৎসাধীন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন করে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অভিভাবক ও প্রশাসনের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত আলোচনা এখনও চলমান।