এইচআরডব্লিউ-এর এশিয়া বিভাগের উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, “এক বছর আগে যাঁরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের স্বপ্নে আন্দোলনে নেমেছিলেন, সেই স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি।” তিনি আরও জানান, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার সংস্কার ছাড়া একটি অচলাবস্থায় আটকে আছে। নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম এখনো স্বচ্ছ নয় এবং রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার নামে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত রয়েছে।
সরকার ২০২৪ সালের শুরুতে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করলেও এইচআরডব্লিউ জানায়, এসব কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং পুলিশি নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের ঘটনা বেড়েছে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ ৮,৬০০ জনকে আটক করা হলেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হন, এরপর ৮,৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৯২,৪৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে বহু সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীও আছেন।
সংস্থাটি আরও জানায়, সরকার গুম তদন্তে কমিশন গঠন করলেও কার্যকর অগ্রগতি নেই। পুলিশ তথ্য গোপন করছে এবং তদন্তে সহায়তা করছে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, হেফাজতে মৃত্যু এবং নারী অধিকারে অবনতি এখনো উদ্বেগজনক।
এইচআরডব্লিউ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে মানবাধিকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, অপরাধীদের বিচার ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।