অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের ঢাকায় ভিসা সেন্টার খোলার অনুরোধ জানালেও আট মাসেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি। বিশেষ করে যেসব দেশ নয়াদিল্লি থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা দেয়, তাদের প্রতি অনুরোধ ছিল ঢাকায় বা অন্য প্রতিবেশী দেশে ভিসা অফিস স্থাপনের।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৯টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস শিক্ষার্থীদের ভিসা জটিলতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনেক বাংলাদেশি ভিসা পেতে সমস্যায় পড়েন। ঢাকায় ভিসা সেন্টার হলে এই ভোগান্তি কমবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বুলগেরিয়ার উদাহরণ তুলে ধরেন, যারা বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। একইভাবে অন্যান্য দেশকেও বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা সীমিত হয়ে পড়েছে। ফলে ইউরোপের ভিসা নিতে দিল্লি যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ তৃতীয় দেশে ভিসা সুবিধা চায়।
এ পর্যন্ত রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও কাজাখস্তান বিকল্প ভিসা সুবিধা দিয়েছে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ব্যাংকক থেকে এসব দেশের ভিসা আবেদন করা যাচ্ছে। তবে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ এখনো সাড়া দেয়নি।
ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাস বর্তমানে আটটি ইউরোপীয় দেশের ভিসা আবেদন নিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও স্লোভেনিয়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভিসা অফিস খোলার সিদ্ধান্তে অনুমোদন, জনবল ও অর্থনৈতিক বিষয় জড়িত, যা সময়সাপেক্ষ। প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেন, প্রবাসীদের ভিসা জটিলতা দূর করতে সরকার কাজ করছে।