সর্বশেষ

সম্পর্কিত

“ভারত প্রত্যাশা করে, বাংলাদেশে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও ম্যান্ডেট নিশ্চিত করতে যত দ্রুত সম্ভব অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগ নাকচ করল ভারত

বাংলাদেশ-পাকিস্তান কনফেডারেশনের ষড়যন্ত্র, স্বাধীনতার শেকড় উপড়ে ফেলার নীলনকশা

হারানো ভূখণ্ড ফেরানোর স্বপ্নে পাকিস্তান,বাংলাদেশ কি আবারও ষড়যন্ত্রের কবলে

“পাকিস্তানকে এখনই দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। ঢাকার মিত্রদের সঙ্গে কাজ করে পূর্ব পাকিস্তানকে পুনরায় ফেডারেশনের অংশ হিসেবে ফিরিয়ে আনতে হবে। ইতিহাস দ্বিধাকে ক্ষমা করবে না; এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।” — তাবাসসুম মোয়াজ্জম খান

বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় পাকিস্তানি সংবাদপত্রঃ ‘পূর্ব পাকিস্তানকে’ ফিরে পাওয়ার অলীক স্বপ্ন

বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত ও ভয়াল এক দিন

ডেঙ্গু রোগী ২৭ হাজার ছাড়ালো, মৃত্যু ১০৫ জনের

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনে সংকটঃ ৮২ ব্যাচের প্রাধান্য, অবসরপ্রাপ্তদের পুনঃনিয়োগ এবং ওএসডি সংস্কৃতির প্রভাব

অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের মুক্তির দাবিতে শতাধিক বিশিষ্টজনের বিবৃতি

রাষ্ট্রপতির ছবি নামিয়ে ফেলার মৌখিক নির্দেশ কেন দরকার পড়লো?

প্রকাশিত: ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৯:৫১
রাষ্ট্রপতির ছবি নামিয়ে ফেলার মৌখিক নির্দেশ কেন দরকার পড়লো?

বিদেশে বাংলাদেশের ৮২টি দূতাবাসে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর প্রায় ৭০টি মিশন থেকে ছবি সরানো হয়, আর বাকি ১২টি মিশনে গত ১৫ আগস্ট মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে সব মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, “পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে” এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন সরকারি অফিসেও রাষ্ট্রপতির ছবি প্রদর্শন বন্ধ রয়েছে, তাই বিদেশি মিশন থেকেও তা সরানো হয়েছে।

 

তবে এই সিদ্ধান্তের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক কূটনীতিকরা। তাদের মতে, বিষয়টি আইনিভাবে করা যেত এবং কেবিনেটের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব ছিল। এক বছর পর মৌখিক নির্দেশে ছবি সরানোয় প্রশাসনিক জটিলতা ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেন, “রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রদর্শনের বিষয়ে কেবিনেটের সিদ্ধান্ত রয়েছে। সরকার চাইলে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারতো।”

 

রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে হয় এবং তার নির্দেশে রাষ্ট্রদূত আইনি ক্ষমতা পান। ফলে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলা বা তাকে অসম্মানজনকভাবে উপেক্ষা করা হলে রাষ্ট্রদূতের আইনি ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সাবেক কূটনীতিকরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হলে তা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

 

আরেক কূটনীতিক বলেন, “সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে কারও ছবি টানানো হবে না, সেটি গ্রহণযোগ্য। কিন্তু রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করে সিদ্ধান্ত হলে তা রাষ্ট্রদূতদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে।”

 

আইনি কাঠামোর দিক থেকে বিষয়টি আরও সুস্পষ্ট করা প্রয়োজন ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছবি প্রদর্শন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের একটি মনস্তাত্ত্বিক ও সাংবিধানিক গুরুত্ব রয়েছে। তাই মৌখিক নির্দেশের বদলে লিখিত ও নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি ছিল।

সব খবর