ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রোববার রাত পৌনে দুইটায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাহিল ফারাবী আয়ান (১৪)। শ্বাসনালীসহ শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তিনি এক সপ্তাহ ধরে আইসিইউতে ছিলেন বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
এ ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৮ জন, যাদের বেশিরভাগই শিশু। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ জনে সংশোধন করলেও আইএসপিআরের হিসাবে এটি ৩৮ জনই রয়ে গেছে। সিএমএইচে ১৫টি ‘বডিব্যাগ’ থেকে ১৪ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়, এবং লুবানা হাসপাতালের এক অজ্ঞাত মৃত ব্যক্তিকে পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা করা হয়।
মিরপুরের মধ্য মনিপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ ও তামান্না দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন আয়ান। ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়—যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত ৪৬ জনের মধ্যে এখনও ৩৪ জন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে, ১১ জন সিএমএইচে ও ১ জন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।