দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোকে গভীর উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ, মানবাধিকার কর্মী ও চিন্তাশীল নাগরিকরা। এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই এভাবে একজন সম্মানিত শিক্ষকের প্রতি এমন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিপত্নীক ৭২ বছর বয়সী অধ্যাপক বারকাত দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, স্ট্রোক-পরবর্তী জটিলতা, ফুসফুসের সমস্যা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ নানা অসুখে ভুগছেন। তাঁকে প্রতিদিন নিয়মিত ওষুধ সেবন ও সপ্তাহে একাধিকবার ফিজিওথেরাপি নিতে হয়। অতীতে দু’বার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এই অবস্থায় কারাবন্দি রাখা তাঁর জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
অতএব মানবিক বিবেচনায় অধ্যাপক বারকাতকে অবিলম্বে জামিনে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, গবেষক খুশী কবীর, সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক সেলিম রায়হানসহ দেশি-বিদেশি শতাধিক শিক্ষক, গবেষক, মানবাধিকার কর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
তাঁরা মনে করেন, একজন আজীবন প্রগতিশীল চিন্তক ও শিক্ষককে অন্যায়ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা দেশের একাডেমিক অঙ্গনের জন্যও নেতিবাচক বার্তা বহন করবে।