গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গিমাডাঙ্গা পৌর এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর।
মেহেদী হাসান দৈনিক কালবেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নবধারা’র সম্পাদক ও প্রকাশক। এর আগে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ডুমুরিয়া ইউনিয়নের পাকুড়তিয়া বাজারে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে একটি মশাল মিছিল বের হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা লাঠিসোঁটা ও লোহার রড দিয়ে দোকানপাটে ভাঙচুর চালায় এবং রাস্তার পাশে থাকা পরিত্যক্ত টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনার সঙ্গে সাংবাদিক মেহেদী হাসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। পরে টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন বাদী হয়ে ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে সাংবাদিক মেহেদী হাসানের গ্রেফতারের ঘটনায় গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “একজন পেশাদার সাংবাদিককে এভাবে গ্রেফতার করা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পর্যালোচনা করা জরুরি।