সর্বশেষ

সরকারের উদাসীনতায় টিআইবির নিন্দা

তথ্য কমিশন গঠন না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৩৮
তথ্য কমিশন গঠন না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ

দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় নতুন করে তথ্য কমিশন গঠন না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এই অচলাবস্থার দ্রুত অবসান এবং তথ্য কমিশনকে কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে।

 

টিআইবি বলেছে, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-এর প্রয়োজনীয় সংশোধন ও বাস্তবায়নে সরকারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তথ্য কমিশন কার্যকর করা এবং আইন সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। নাগরিক সমাজের সুপারিশ সত্ত্বেও পদক্ষেপহীনতা দুর্ভাগ্যজনক।”

 

তিনি আরও বলেন, “জনগণের তথ্য জানার অধিকার রক্ষায় সরকারের এই উদাসীনতা স্পষ্টভাবে ব্যর্থতা। কমিশন না থাকায় তথ্য চেয়ে করা আবেদনগুলোর শুনানি হচ্ছে না, সমাধানও মিলছে না। তথ্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ তথ্য অধিকারবিষয়ক কার্যক্রমে মন্থর গতি দেখা যাচ্ছে, যা তথ্যপ্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করছে।”

 

ড. জামান অভিযোগ করেন, “তথ্য অধিকার আইন পাস ও কমিশন গঠনের পরও কর্তৃত্ববাদী সরকারের সদিচ্ছার অভাবে আইনটি কার্যকর হয়নি। কমিশনারদের একাংশ দলীয় আদর্শে প্রভাবিত হওয়ায় কমিশনও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।”

 

ফলে সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

টিআইবি সার্বজনীন তথ্য অধিকার, প্রবেশগম্যতা ও জন-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৫ দফা সুপারিশ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—তথ্য অধিকার আইন যুগোপযোগী করা, রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা, দলগুলোর আয়-ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ, বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল টুলস সহজলভ্য করা।

 

সংস্থাটি আরও বলেছে, জনগণের ওপর নজরদারি কাঠামো বিলুপ্ত করে তথ্যপ্রকাশে বাধা দূর করতে হবে। তথ্য অধিকার আইনকে কার্যকর করতে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

সব খবর