সর্বশেষ

শিশুদের চোখে মায়োপিয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে পাঁচটি দৈনন্দিন অভ্যাস

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৩৯
শিশুদের চোখে মায়োপিয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে পাঁচটি দৈনন্দিন অভ্যাস

বর্তমানে শিশুদের মধ্যে উচ্চ মাত্রার মায়োপিয়া (দূরদৃষ্টি সমস্যা) আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাসই এই সমস্যার মূল কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এই অভ্যাসগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

 

১. দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে চোখ রাখা
 

মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ বা টিভি—স্ক্রিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চোখ রাখার ফলে চোখের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। শিশুদের চোখের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় এবং মায়োপিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে ৬-৭ ঘণ্টার বেশি স্ক্রিন টাইম শিশুদের চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

 

২. ঘরের মধ্যে বেশি সময় কাটানো
 

শিশুরা এখন খেলাধুলা বা বাইরের পরিবেশে সময় কাটানোর বদলে ঘরের মধ্যে থাকছে বেশি। সূর্যের আলো চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে অন্তত ২ ঘণ্টা বাইরে সময় কাটানো শিশুদের চোখের জন্য উপকারী।

 

৩. পর্যাপ্ত দূরত্বে না দেখে পড়াশোনা বা স্ক্রিন দেখা
 

অনেক সময় শিশুরা খুব কাছ থেকে বই পড়ে বা মোবাইল দেখে। এতে চোখের উপর চাপ পড়ে এবং ফোকাসিং ক্ষমতা কমে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, স্ক্রিন থেকে অন্তত ২০ ইঞ্চি দূরে বসে দেখা উচিত এবং প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ডের জন্য চোখকে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন।

 

৪. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
 

চোখের সুস্থতার জন্য ভিটামিন এ, সি, ই এবং জিঙ্ক অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু আজকালকার শিশুরা ফাস্টফুড, প্যাকেটজাত খাবার বেশি খায়, ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে চোখের রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

 

৫. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
 

শিশুদের চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের অভাবে চোখের ক্লান্তি বাড়ে, যা দীর্ঘমেয়াদে চোখের সমস্যা তৈরি করে।

 

চিকিৎসকরা বলছেন, এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন না করলে ভবিষ্যতে শিশুদের মধ্যে চশমা নির্ভরতা বাড়বে এবং চোখের জটিল রোগের আশঙ্কাও থাকবে। তাই অভিভাবকদের উচিত শিশুদের স্ক্রিন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ, বাইরের পরিবেশে সময় কাটানো, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা।

 

চোখের যত্নে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো, চোখের ব্যায়াম করা এবং প্রয়োজন হলে চশমা ব্যবহার করাও জরুরি। শিশুদের চোখের সুস্থতা রক্ষা করতে হলে এখনই সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

সব খবর