জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সংলাপে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর আয়োজিত এ সংলাপে মানবাধিকার সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে গৃহীত নতুন অধ্যাদেশকে কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সমন্বিত ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সংলাপে সরকারি প্রতিনিধি, মানবাধিকার রক্ষাকর্মী, আইনজীবী, সুশীল সমাজ, তরুণ প্রবক্তা ও উন্নয়ন সহযোগীরা অংশ নেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, “এই অধ্যাদেশ একটি শক্তিশালী ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত মানবাধিকার কমিশনের ভিত্তি তৈরি করেছে। তবে কাগজে সংস্কারই যথেষ্ট নয়, এর বাস্তবায়নই হবে মূল পরীক্ষা।”
তিনি আরও বলেন, নতুন অধ্যাদেশের অধীনে কমিশন কার্যকরভাবে চালু হলে আগামী রাজনৈতিক উত্তরণের সময় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
নতুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশটি কমিশনের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবী করে জানান দেশজুড়ে ৬০০–র বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে এতে যাদের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিও ছিলেন।
সংলাপে বক্তারা বলেন, এই সংস্কারকে বাস্তবে রূপ দিতে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে নতুন কমিশনার নিয়োগ, পর্যাপ্ত আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা নিশ্চিত করা, শক্তিশালী অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলা, জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ বৃদ্ধি, বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় এবং ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদে অধ্যাদেশের দ্রুত অনুমোদন নিশ্চিত করা।
অংশগ্রহণকারীরা আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে মত দেন। তারা সরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও স্থানীয় সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান বিশেষ করে নতুন কমিশনার নিয়োগ পর্যবেক্ষণ, সংসদীয় অনুমোদনের জন্য জনসমর্থন গড়ে তোলা, নাগরিকদের কমিশনের সহায়তা গ্রহণের উপায় জানানো এবং কমিশনকে স্বাধীন, সহজপ্রাপ্য ও জবাবদিহিমূলক রাখার বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে বলা হয়।