হামাসের হাতে বন্দি থাকা ৪৮ জনের মধ্যে ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে সম্প্রতি মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার সময় ২৫১ জনকে অপহরণ করা হয়, যাদের মধ্যে অধিকাংশই এখনো গাজায় বন্দি, কেউ কেউ নিহত হয়েছেন।
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন:
আরিয়েল কুনিও (২৮): কিবুতজ নীর ওজ থেকে অপহৃত হন। তার শেষ বার্তা ছিল, “আমরা যেন এক ভয়ংকর সিনেমায় আছি।” তার সঙ্গী আরবেল ইয়েহুদকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি দেওয়া হয়।
ডেভিড কুনিও (৩৫): আরিয়েলের ভাই। তার স্ত্রী শ্যারন ও যমজ কন্যা ইমা ও ইউলি ২০২৩ সালের নভেম্বরে মুক্তি পান। পরে জানা যায়, ডেভিডকে জীবিত দেখা গেছে।
গালি ও জিভ বারম্যান (২৮): যমজ ভাই, কিবুতজ কফার আজা থেকে অপহৃত হন। তাদের প্রতিবেশী এমিলি দামারি আগে মুক্তি পান। পরে জানা যায়, তারা দুজনই জীবিত।
মাতান অ্যাংগ্রেস্ট (২২): আইডিএফ সেনা, যিনি গাজা সীমান্তে ট্যাংকে ছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তাকে আহত অবস্থায় টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মাতান জাঙ্গাউকার (২৫): তার সঙ্গী ইলানা গ্রিটজেভস্কি আগে মুক্তি পান। মাতান জানান, তারা খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকটে ভুগছেন।
ইতান হর্ন (৩৮): ইসরায়েলি-আর্জেন্টাইন নাগরিক, ভাই ইয়ায়েরের সঙ্গে অপহৃত হন। ইয়ায়ের মুক্তি পাওয়ার সময় তাদের আবেগঘন মুহূর্ত ভিডিওতে দেখা যায়।
নিমরোদ কোহেন (২১): আইডিএফ সেনা, যিনি নাহাল ওজে ট্যাংকে ছিলেন। তার মা ভিকি বলেন, “আমার সন্তান, তুমি বাড়ি ফিরছো।”
ওমরি মিরান (৪৮): নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন। তার স্ত্রী লিশে জানান, তিনি ওমরিকে নিজের গাড়িতে তুলে নিতে দেখেছেন। পরে একটি ভিডিওতে ওমরিকে জন্মদিন পালন করতে দেখা যায়।
গাই গিলবোয়া-দালাল (২৪) ও আলোন ওহেল (২৪): নোভা উৎসব থেকে অপহৃত হন। ভিডিওতে দেখা যায়, তারা গাজা শহরে গাড়িতে ঘুরছেন।
ইয়োসেফ-চাইম ওহানা (২৫) ও এলকানা বোহবট (৩৬): উৎসব থেকে অপহৃত হন। ভিডিওতে দেখা যায়, এলকানা অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে আছেন।
আভিনাতান অর (৩২): তার সঙ্গী নোয়া আর্গামানি ২০২৪ সালে উদ্ধার হন। আভিনাতানের মা বলেন, “আমি শুধু তার হৃদস্পন্দন শুনতে চাই।”
ইতান মোর (২৫): নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে উৎসবে ছিলেন। তিনি অনেককে রক্ষা করেন। পরে জানা যায়, তিনি বন্দিদের মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ম্যাক্সিম হারকিন (৩৭) ও বার কুপারস্টেইন (২৩): উৎসব থেকে অপহৃত হন। ভিডিওতে দেখা যায়, তারা আহত ও চিকিৎসাধীন।
সেগেভ কালফন (২৭): ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি বন্দি অবস্থায় ছিলেন। মুক্তিপ্রাপ্ত একজন জানান, তারা “ভয়াবহ” অবস্থায় ছিলেন।
এভিয়াতার ডেভিড (২৪): উৎসবে ছিলেন, হামলার সময় পরিবারকে বার্তা পাঠান। পরে একটি ভিডিওতে তাকে হাতকড়া পরা অবস্থায় দেখা যায়।
রোম ব্রাসলাবস্কি (২১): নিরাপত্তাকর্মী, আহত একজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন।
এই মুক্তিপ্রাপ্তদের গল্প শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং যুদ্ধ, মানবতা ও প্রতিরোধের প্রতিচ্ছবি। গাজা সংকটে এই জিম্মিদের মুক্তি কিছুটা আশার আলো দেখালেও, এখনও বহু মানুষ বন্দি রয়েছেন, যাদের ভাগ্য অনিশ্চিত।