অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পাকিস্তান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে বহুজাতিক প্রসাধনী কোম্পানি প্রক্টার অ্যান্ড গ্যাম্বল (পিঅ্যান্ডজি)। ফলে দেশটির বাজারে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড যেমন—জিলেট, হেড অ্যান্ড শোল্ডার, প্যান্টিন, টাইড, ওরাল-বি, ওল্ড স্পাইস, এরিয়েল—ধীরে ধীরে অনুপস্থিত হয়ে পড়ছে। এতে সাধারণ ভোক্তারা যেমন উদ্বিগ্ন, তেমনি বিকল্প পণ্যের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
১৯৯১ সালে পাকিস্তানে কার্যক্রম শুরু করে পিঅ্যান্ডজি। অল্প সময়েই কোম্পানির পণ্য দেশটির প্রায় প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যায়। সাশ্রয়ী দামে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করে তারা বাজারে আধিপত্য গড়ে তোলে। কিন্তু চলমান অর্থনৈতিক সংকট, মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক বিনিয়োগে অনিশ্চয়তার কারণে কোম্পানিটি জুনে ঘোষণা দেয়, তারা ব্র্যান্ড পোর্টফোলিও ছোট করবে এবং দুই বছরের মধ্যে ৭,০০০ কর্মী ছাঁটাই করবে।
পণ্য সংকট ইতিমধ্যে বাজারে দৃশ্যমান। ইসলামাবাদের এক ইঞ্জিনিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “তিন মাস ধরে জিলেট রেজার খুঁজে পাচ্ছি না। বিকল্প যা পাচ্ছি, তা খুবই নিম্নমানের।” অনেকেই বলছেন, দৈনন্দিন পরিচর্যা ও সাজগোজের জন্য নির্ভরযোগ্য পণ্য না পেলে জীবনযাত্রার মানে প্রভাব পড়বে।
একজন ভোক্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “২৪০ মিলিয়ন মানুষ এখনও সাবান, শ্যাম্পু, শেভিং ক্রিম চায়। পিঅ্যান্ডজির এই সিদ্ধান্ত কি বুদ্ধিদীপ্ত?” আরেকজন আশঙ্কা করছেন, “এবার হয়তো চাইনিজ পণ্য বাজারে ঢুকবে, কিন্তু তা পিঅ্যান্ডজির মতো হবে না।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, পিঅ্যান্ডজির মতো কোম্পানি চলে গেলে পাকিস্তানের ভোক্তা বাজারে মানসম্পন্ন পণ্যের সংকট তৈরি হবে। অনেকেই মনে করছেন, ভবিষ্যতে এসব পণ্য আমদানি করে ব্যবহার করতে হতে পারে, যা খরচ বাড়াবে এবং সহজলভ্যতা কমাবে।