উপসাগরীয় অঞ্চলে পর্যটনকে আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করতে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতি ও পর্যটনমন্ত্রী এবং এমিরেটস ট্যুরিজম কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ বিন তউক আল মারি জানিয়েছেন, জিসিসির ছয়টি সদস্য দেশ যৌথভাবে একটি একীভূত পর্যটন ভিসার পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে।
এই ‘জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা’ চালু হলে পর্যটকরা একমাত্র ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন—এই ছয়টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। ইউরোপের শেনজেন ভিসার আদলে তৈরি এই ভিসা উপসাগরীয় অঞ্চলে পর্যটন ও বাণিজ্যিক সংযোগকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবদুল্লাহ আল মারি বলেন, “এই ভিসা শুধু পর্যটকদের সুবিধা দেবে না, বরং জিসিসি দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংযোগও বাড়াবে।” তিনি আরও জানান, ভিসার খরচ ও মেয়াদ এখনও নির্ধারিত হয়নি এবং প্রকল্পটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের পর্যালোচনায় রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই একক ভিসা উপসাগরীয় পর্যটনশিল্পে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। এতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ বাড়বে এবং অঞ্চলটির মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব এই ভিসার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আকর্ষণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জিসিসি অঞ্চলে পর্যটন খাতকে বৈচিত্র্যময় ও বহুমুখী করতে এই উদ্যোগকে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে করে ভ্রমণকারীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সহজে যাতায়াত করতে পারবেন, যা অভ্যন্তরীণ পর্যটনকে উৎসাহিত করবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য উপসাগরীয় অঞ্চলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
এই ভিসা চালু হলে দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলের পর্যটকদের জন্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে ভ্রমণ হবে আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ। পর্যটন খাতের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটি শুধু পর্যটন নয়, বরং হোটেল, পরিবহন, সংস্কৃতি ও বিনোদন খাতেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।