সর্বশেষ

বিবিএস জরিপ

চাকরির জন্য আত্মীয়-বন্ধুর দ্বারস্থ হয় ৩৬% বেকার তরুণ

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:০৬
চাকরির জন্য আত্মীয়-বন্ধুর দ্বারস্থ হয় ৩৬% বেকার তরুণ

চাকরির জন্য আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের দ্বারস্থ হচ্ছেন দেশের বেকার তরুণ-তরুণীরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ–২০২৪ অনুযায়ী, প্রায় ৩৬ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী আত্মীয় বা বন্ধুর সহায়তায় চাকরি খোঁজার চেষ্টা করেন। অর্থাৎ প্রতি তিনজন বেকারের একজন চাকরির জন্য ব্যক্তিগত যোগাযোগকে সবচেয়ে কার্যকর মনে করেন।

 

জরিপে দেখা গেছে, সংবাদপত্রে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছেন ২৬ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী। প্রায় ১২ শতাংশ সরাসরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাকরির সুযোগ খুঁজেছেন। এছাড়া প্রায় ৯ শতাংশ বেকার সরাসরি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছেন, সাড়ে ৫ শতাংশ বিজ্ঞাপন দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আবেদন করবেন কি না। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছেন সাড়ে ৩ শতাংশ।

 

চাকরি খোঁজার অন্যান্য উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে—প্রফেশনাল নেটওয়ার্কে জীবনবৃত্তান্ত জমা রাখা, সরকারি বা বেসরকারি কর্মসংস্থান কেন্দ্রে নিবন্ধন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাকরি খোঁজা, কিংবা ব্যবসা শুরুর জন্য আর্থিক ও জমি–জায়গার সহায়তা চাওয়া।

 

বিবিএসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে প্রথম ভরসা হিসেবে দেখেন অধিকাংশ বেকার। দীর্ঘদিন ধরেই দেশে মামা বা পরিচিত আত্মীয়ের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার সংস্কৃতি চালু রয়েছে।

 

জরিপ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে দেশে মোট বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ২৪ হাজারে। বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বেশি বেকার ঢাকায়—৬ লাখ ৮৭ হাজার। এরপর চট্টগ্রামে ৫ লাখ ৮৪ হাজার এবং রাজশাহীতে ৩ লাখ ৫৭ হাজার বেকার রয়েছেন। খুলনায় ৩ লাখ ৩১ হাজার, সিলেটে ২ লাখ ১৬ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ৬ হাজার, বরিশালে ১ লাখ ৩৯ হাজার এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৪ হাজার বেকার আছেন।

 

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ডে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করলেও তাকে বেকার ধরা হয় না। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতায় সপ্তাহে এক ঘণ্টার আয়ে জীবনধারণ সম্ভব নয়। এ ছাড়া প্রায় এক কোটি মানুষ আছেন, যারা মনমতো কাজ পান না। তাদের ‘ছদ্মবেকার’ হিসেবে ধরা হয়।

সব খবর